আজ বুধবার ২৫ বৈশাখ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাসস জানায়, বাণীতে তাঁরা কবির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘মনুষ্যত্বের বিকাশ, মানবমুক্তি ও মানবপ্রেম ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনবোধের প্রধান পাথেয়। তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। কবি বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলা সাহিত্যকে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত করেছিলেন। তৎকালীন পূর্ববঙ্গের সঙ্গে ছিল কবির গভীর সম্পর্ক। পূর্ববঙ্গের দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও মানবসমাজ সম্পর্কে উপলব্ধি তাঁর সাহিত্যে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সাহিত্যের মধ্যেই আমরা পেতে পারি মানসিক শান্তি ও কাঙ্ক্ষিত অনুপ্রেরণা।‘
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘রবীন্দ্র দর্শনের প্রধান বিষয় হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, বিশ্বমানবতাবোধ ও মানুষে মানুষে মিলন। তাঁকে জীবনমুখী শিক্ষা দর্শনের পথপ্রদর্শকও বলা যায়। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর রচনা আলোক শিখা হয়ে বাঙালিকে দেখিয়েছে মুক্তির পথ। মহান মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান হয়ে উঠেছিল মুক্তিকামী বাঙালির চেতনাসঞ্চারী বিজয় মন্ত্র। তিনি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের একান্ত আপনজন। জীবনের যেকোনো সমস্যা-সংকটে তাঁর সৃষ্টি উত্তরণের অনিবার্য উপায়। আজ বিশ্বব্যাপী যে যুদ্ধ-সংঘাত, হিংসা-হানাহানি আর সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন উল্লম্ফন, তা নিরসনে রবীন্দ্রনাথ হতে পারেন প্রধান নিয়ামক শক্তি।‘
এবার জাতীয়ভাবে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য ‘সোনার বাংলা স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’। এই প্রতিপাদ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বর্ণিল সব আয়োজন থাকছে। বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসরে কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থানে সরকারি উদ্যোগে রবীন্দ্রজয়ন্তীর কর্মসূচি পালিত হবে। সেই সাথে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
দ্য নিউজ / এন এ
আরও পড়ুন: