সমকামিতা ও পতিতাবৃত্তিকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইরাকের জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- কোনো ব্যক্তি সমকামিতায় লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকবে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। তবে ইরাকি সংসদের স্পিকার সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, সমাজ কাঠামো এবং মূল্যবোধ ঠিক রাখার জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল।
পার্সটুডে জানিয়েছে, পতিতাবৃত্তি এবং সমকামিতা দমনের জন্য শনিবার ইরাকের জাতীয় সংসদে এই আইন পাস হয়। এছাড়া, যদি কোনো ব্যক্তি সমকামিতা বা পতিতাবৃত্তিকে উৎসাহ যোগায় তাহলে তার বিরুদ্ধে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকবে। যদি কোনো ব্যক্তি তার লিঙ্গ পরিবর্তনের চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে এক থেকে তিন বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি কার্যকর হবে।
এই আইন পাসের পর ইরাকের স্পিকার বলেছেন, আমাদের শিশুদেরকে সমকামিতা ও নৈতিক অবক্ষয় থেকে বাঁচানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, এটি জরুরি ছিল। এই আইনের বিরুদ্ধে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরাকের এই আইন পাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এমন আইন পাসের ফলে ইরাকের পক্ষে অর্থনীতিতে বৈচিত্র আনা যাবে না এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা কঠিন হবে। অন্যদিকে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এই আইনকে বিপজ্জনক এবং চিন্তার কারণ বলে উল্লেখ করেছেন।
দ্য নিউজ/ এ এ
আরও পড়ুন: