একটা সময় ছিল যখন আহমেদাবাদের বাসিন্দারা তাদের গ্রীষ্মের বিকেলগুলো কাটাতো মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখে! শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলে বসে পপকর্ন চিবাতে চিবাতে সেই সব বিকেল পার হয়ে সন্ধ্যা হয়ে যেত আহমেদাবাদবাসীর। কিন্তু এখন গ্রীষ্মে পাল্টে গেছে সিনেমা হলগুলোর সেই রূপ!
মানুষ এখন মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে সিনেমা দেখার বদলে বাড়িতে বসে সিনেমা দেখতেই পছন্দ করছে বেশি। সিনেমা দেখার জন্য হাতের মুঠোয় একটা স্মার্টফোন থাকাই যথেষ্ট এখন। তার ওপর চলছে আইপিএল। অধিকাংশ মানুষ এখন খেলা দেখতেই ব্যস্ত। অল্প কিছু সিনেমা মুক্তি পেলেও ব্যবসা করতে পারছে না একেবারেই। ওটিটি প্লাটফর্মেও ভালো ভালো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। সব মিলিয়ে হুমকিতে মাল্টিপ্লেক্সগুলো। এমনটাঈ বলছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গুজরাটের মাল্টিপ্লেক্স মালিক সমিতি জানিয়েছে, পিক আওয়ার এবং প্রাইম-টাইম শোগুলোতে দর্শক থাকছে মাত্র ৮-১০%। অর্থাৎ প্রায় ৯০ শতাংশ সিট খালি থাকছে প্রতিটি শো-তে। এ প্রসঙ্গে গুজরাট মাল্টিপ্লেক্স মালিক সমিতির সভাপতি মনু প্যাটেল বলেছেন, ‘কোনো লাভের মুখই দেখছি না অনেকদিন ধরে। গত দুই মাস ধরে এই অবস্থা। মার্চে পরীক্ষা ছিল অনেকের। এপ্রিলেও অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। দর্শক কম থাকার অন্যতম কারণ বলিউড ও হলিউডের তেমন কোনো ভালো ছবি না থাকা।’
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, ভারতে বর্তমান সময়ে প্রক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো প্রথম সপ্তাহের পরেই আর টিকতে পারছে না। অথচ করোনার আগে সাধারণ মানের সিনেমগুলোও অন্তত তিন সপ্তাহ ব্যবসা করতে পারতো হলে। দর্শক টানতে মূল্যছাড়, বিনামূল্যে খাবার-পানীয়ের সুবিধা দেয়া হচ্ছে দর্শকদের। এমনকি সিনেমার পর্দা বিজ্ঞাপন মুক্ত রাখা হচ্ছে। কোনো কোনো হলে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ক্লাসিক সিনেমা। তবুও হতাশা কাটছে না মাল্টিপ্লেক্স মালিকদের। ভাড়া দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে, কিছু সিনেমা হলে ব্যবসা করতে না পারলেও সাড়া ফেলছে ওটিটিতে। সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘লাপাতা লেডিস’ তার মাঝে অন্যতম। এর আগে হলে মুক্তি পেয়েছিলো সিনেমাটি। সেসময় আলোচনায় আসতে না পারলেও ওটিটিতে মুক্তি পেয়ে এখন ট্রেন্ডিং-এ এই সিনেমাটি।
দ্য নিউজ / এন এ