ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪ 

জাতীয় পরিচয়পত্র-নকল জন্মসনদ তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

বিশেষ প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ৯ মে ২০২৪

শেয়ার

জাতীয় পরিচয়পত্র-নকল জন্মসনদ তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

টাকার বিনিময়ে 'ইচ্ছেমত' জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ ও অন্যান্য নকল জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। 
তারা হলেন, লিটন মোল্লা (২৩) ও মো. জামাল উদ্দিন (৩৮)।

সিটিটিসির প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

আসাদুজ্জামান বিলেন, ইদানিং প্রায়ই শোনা যায় বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সেবা যেমন, হারানো এনআইডির কপি, এনআইডি (NID) সংশোধন, জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি ও নাম সংশোধন, কোভিড-১৯ এর টিকার কপিসহ বিভিন্ন সেবা, টিন (TIN) এর কপি প্রভৃতি অবৈধ উপায়ে কেউ কেউ সরবরাহ করছে। 

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সনাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর ইন্টেলিজেন্স এ্যানালাইসি বিভাগ এমন সংবাদের ভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারী করতে থাকে। 

তারই ধারাবাহিকতায় তারা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অর্থের বিনিময়ে এনআইডিসহ অন্যান্য সরকারি কিছু সনদ অবৈধভাবে সরবরাহকারী লিটন মোল্লাকে ও জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে।
লিটন মোল্লা ও জামাল উদ্দিন পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকার বিনিময়ে অনলাইনে এনআইডি ও অন্যান্য সনদ প্রদানের বিষয়ে স্বীকার করেন। 

লিটন আনান, এনআইডি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী নির্বাচন কমিশনে প্রকল্পে কর্মরত মো. জামাল উদ্দিনসহ কতিপয় ব্যক্তির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন অফিসের সার্ভারের মাধ্যমে উক্ত তথ্য প্রাপ্ত হন। 
প্রতিটি কাজের বিনিময়ে তাদেরকে নির্ধারিত টাকা বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। 

পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, অর্থের বিনিময়ে অবৈধ উপায়ে লিটন, জামাল ও অন্যান্যদের সহযোগীতায় যে কাজগুলো করতেন তা হলো  হারানো এনআইডির কপি বা ডুপ্লিকেট কপি প্রদান করা। জাল এনআইডি প্রদান করা। সিম কার্ডের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ও এর বিপরীতে রক্ষিত এনআইডি প্রদান।

অসম্পূর্ন কোভিড টিকা কার্ডকে সম্পূর্ন করে দেওয়া।পিছনের কোভিড টিকার তারিখ বসিয়ে দেওয়া। জাল বা ক্লোন কোভিড টিকা কার্ড তৈরী করা। জন্ম নিবন্ধন সনদের ডুপ্লিকেট ডিজিটাল কপি প্রদান করা। হারানো বা ডুপ্লিকেট টিন সনদের কপি প্রদান। জাল এনআইডির মাধ্যমে বিকাশ ও নগদের একাউন্ট করে দেওয়া প্রভৃতি।

এ কাজগুলোর বিনিময়ে লিটন গ্রাহকের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত পেতো যার একটা বড় অংশ তার সহযোগীদেরকে প্রদান করতে হতো। 

তিনি বলেন, হোয়াসটআপে গ্রাহকের চাহিদার ভিত্তিতে তিনি তার সহযোগীদের সহযোগীতায় বা নিজের তৈরী ওয়েব সাইটের মাধ্যমে জাল বা ডুপ্লিকেট সরকারী এইসব সনদ তৈরী করে গ্রাহকদের কে হোয়াটসআপে প্রদান করতেন।বিনিময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তারা টাকা পেত। 

লিটন এক বছর ধরে এই অবৈধ কাজ করে অর্ধ কোটি টাকার উপরে এবং জামাল প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া তাদের অন্যান্য সহযোগীদের বড় অংকের টাকা প্রদান করতে হয়েছে।
লিটন মোল্লা ও মো. জামাল উদ্দিনসহ অজ্ঞাত সহযোগীদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
 

দ্য নিউজ/ এফ এইচ এস / কে টি

live pharmacy
umchltd

সম্পর্কিত বিষয়: