ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪ 

১২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ৯ মে ২০২৪

আপডেট: ২৩:০৭, ৯ মে ২০২৪

শেয়ার

১২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার
ইনসেটে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিধ্বস্ত বিমানটি উদ্ধার করা  হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে বৃহস্পতিবার রাত পৌঁনে ১০টার দিকে  নৌ বাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘বলবান' বিধ্বস্ত এই বিমান উদ্ধার করে।

 

নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বলেন, বিধ্বস্ত হওয়া বিমান উদ্ধারে নৌবাহিনীর ডুবুরি, নৌ পুলিশ, ফায়ার ফাইটাররা কাজ করেছেন।  অবশেষে রাত পৌনে ১০ টার দিকে এটিকে উদ্ধার করা হয়। 

 

জানা যায়, বিধ্বস্তের পর থেকেই কর্ণফুলী নদীতে বিমানটির খোঁজে নামে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর ম্যানুয়াল দুই পদ্ধতি ব্যবহার করেই খোঁজা হয় বিমানটি। বঙ্গোপসাগর আর কর্ণফুলী নদীর মোহনা হওয়ায় নদীর তলদেশ খুব গভীর। এজন্য বেশ বেগ পেতে হয় নৌবাহিনীকে। বিমানটি দ্রুত শনাক্ত করতে না পারলে এ পথে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটতো বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী। এছাড়াও এই পথেই দেশি-বিদেশি জাহাজ পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে। 

 

এদিকে, আজ রাত ১০টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত জহুর আহমদ ঘাঁটিতে নিহত আসিম জাওয়াদের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নিহত এই পাইলটের পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এসময় তার  এই লাশের কফিনকে ঘিরে সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। শুক্রবার  গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

 

নিহত পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ ছিলেন দুই সন্তানের জনক। PT-6 , L-39ZA , F-7MB, F-BG1 ইত্যাদি বিমান চালানো দক্ষ আসিম জাওয়াদ ছিলেন F-7MG1 এর অপারেশনাল পাইলট ও এলিমেন্ট লিডার। তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৭ সালে এসএসসি ও ২০০৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তিনি চিকিৎসক বাবা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মায়ের একমাত্র সন্তান।

 

চট্টগ্রাম বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, আসিম ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করেন। তিনি ২০১১ সালে একজন পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। ওই সময় প্রশিক্ষণে সামগ্রিকভাবে সেরা পারফরম্যান্সের জন্যে তিনি পেয়েছেন গৌরবমণ্ডিত সোর্ড অব অনার।

 

এরআগে  আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে বিমানটি আছড়ে পড়ে। এতে পাইলট আসিম জাওয়াদ নিহত হয়। এছাড়া আরেকজন কো পাইলট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

দ্য নিউজ/ আর পি

live pharmacy
umchltd

সম্পর্কিত বিষয়: