ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪ 

সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, লুটপাটের অভিযোগ

পাবনা সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ৯ মে ২০২৪

শেয়ার

সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, লুটপাটের অভিযোগ

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পাবনার সুজানগরে অর্ধ-শতাধিক বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলা ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

 

ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, প্রথম ধাপে সুজানগর উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাত থেকেই পরাজিত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায় বিজয়ী আব্দুল ওয়াহাবের সমর্থকরা।

 

বৃহস্পতিবারও দফায় দফায় সুজানগর পৌরসভারসহ ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময়ে বাড়ির সদস্যদের মারধর করে লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

 

বালিয়াঙ্গী গ্রামের ফরিদ মোল্লা, শহীদ শেখ, গোয়ালকান্দি গ্রামে ধীরেন্দ্রনাথ কুন্ডু, গীতা রানী কুন্ডু, বাজার সিন্দুরিয়া গ্রামের আলম শেখ সহ অর্ধ শতাধিক কর্মী সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালায় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা।

 

এসব ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকের প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন এর পক্ষে নির্বাচন করেছিলেন। এ কারণে বিজয় প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা গতকাল রাত থেকে এই তাণ্ডব চালায়। একই দলের লোক হয়ে তারা এরকম কাজ করবে কেউ কল্পনা করেনি।

 

ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

 

পরাজিত প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই একের পর হামলাও ভাংচুর চালানো হচ্ছে তার কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে। বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের নির্দেশেই এই হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তার। যেহেতু তারা দুজন একই দলের নেতা। সুতরাং এমন হামলা কাম্য নয়। তবে নির্বাচন নিয়ে তার কোন অভিযোগ নেই। এই হামলা ভাংচুর এর ঘটনায় সঠিক তদন্ত ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিজয়ী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারস প্রতীকের আব্দুল ওহাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

পাবনার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। আমি কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শন করেছি এবং তাদের বলেছি থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে। অভিযোগ দিলেই মামলা দায়ের করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দ্য নিউজ/এমএম

live pharmacy
umchltd