ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪ 

‘দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় রাজশাহীতে ফ্লাইওভার নির্মাণ হচ্ছে’

রাজশাহী সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২০:২৬, ৯ মে ২০২৪

আপডেট: ২০:৩১, ৯ মে ২০২৪

শেয়ার

‘দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় রাজশাহীতে ফ্লাইওভার নির্মাণ হচ্ছে’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় ফ্লাইওভার নির্মাণ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজসমূহ বাস্তবায়ন করছে।’

 

এ সময় তিনি বিভ্রান্তকরণ তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে চলমান উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে নগরবাসী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে নগরীর চলমান উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিতকরণের লক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে নগরীর বিভিন্ন রেল ক্রসিং এ ফ্লাইওভার নির্মাণ। ফ্লাইওভারসহ নগরীতে যখন নাগরিকগণের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে, ঠিক সেই সময়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ নিয়ে কিছু বিভ্রান্তকর তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আলোচিত বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ব্যাখাসহ নগরীর চলমান উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিম্নে তুলে ধরা হলো।

 

রাজশাহী মহানগরীর কেন্দ্রস্থলের বুক চিরে রেললাইন। রেলের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী শীঘ্রই ট্রেন চলাচলের জন্য রেলের ডাবল লাইন হতে যাচ্ছে। চালু হতে যাচ্ছে ডাবল ডেকার ট্রেন। কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন নির্মিতব্য ইয়ার্ডে ভারত ও নেপাল থেকে আনিত পণ্য সামগ্রী নামানো ও ওঠানো হবে। আরডিএ এর মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী সিটি এলাকা উত্তর দিকে বৃদ্ধি পাবে। ফলে উত্তর-দক্ষিণে চলাচল বাড়বে। রাজশাহী সিটির আয়তন তিন থেকে চারগুণ বৃদ্ধির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

 

শহরের মধ্যে রেলক্রসিংগুলোতে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। আগামীতে মানুষ ও যানবাহন সংখ্যাধিক্যের কারণে শহরের উত্তর-দক্ষিণে চলাচল ক্রমবৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে যানজটসহ দুর্ঘটনাও বাড়বে।সার্বিক দিক বিবেচনায় জনস্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দুর্ঘটনারোধ ও নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত এবং ভবিষ্যতে উদ্ভূত যানজট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী ৫০/১০০ বছরের বাস্তবতায় রাজশাহী মহানগরীতে রেলক্রসিং-এ ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া বর্তমান মুহুর্তে  ফ্লাইওভার তৈরি করা না হলে ভবিষ্যতে তা করা কঠিন হবে, নির্মাণ ব্যয় বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। আপাত দৃষ্টিতে ফ্লাইওভারের ব্যবহার সীমিত মনে হলেও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ফ্লাইওভার নির্মাণ অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত।  

 

মেয়র লিটন বলেন, ফ্লাইওভারের কাঠামো দাঁড় হতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। ফ্লাইওভারের নিচের অংশের কাজ শেষ হলে উপরের অংশের কাজ শুরু হবে, তখন নিচ দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ফ্লাইওভার নির্মাণাধীন সড়কে এক থেকে দেড় বছর যানবাহন চলাচলে সাময়িক অসুবিধা হবে। এই সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা নগরবাসীর প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছি। 

 

দ্য নিউজ/এমএম

live pharmacy
umchltd