ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪ 

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলো আরও ৫ বিজিপি সদস্য

কক্সবাজার সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২০:১৫, ৯ মে ২০২৪

শেয়ার

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলো আরও ৫ বিজিপি সদস্য

সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিপির (বর্ডার গার্ড পুলিশ) আরও পাঁচজন সদস্য। তাদেরকে নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, বিজিপি সদস্যরা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদের সাবরাং পয়েন্ট দিয়ে পালিয়ে এসেছেন।

 

তিনি বলেন, বেলা ১১টার দিকে নাফ নদের সাবরাং ইউনিয়নের খুরের মুখ পয়েন্ট দিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় বিজিপির এই ৫ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের হাতে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল এবং তাদের পরনে ছিল মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পোষাক।

 

ইউএনও আদনান আরও বলেন, নৌকাটি নাফ নদের কিনারায় পৌঁছালে দেখতে পেয়ে বিজিবির সদস্যরা ঘিরে ফেলেন। এ সময় তারা (বিজিপি সদস্য) অস্ত্র জমা দিয়ে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে আশ্রয় প্রার্থণা করেন। তাদেরকে নিরস্ত্র করার পর বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়।

 

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, বিকাল ৫টার দিকে বিজিপি সদস্যদের ২০ কিলোমিটার দূরে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে গেছে বিজিবি।

 

গত ফেব্রুয়ারিতে জান্তা সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত তীব্র হতে শুরু করে। এর জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে থাকে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। সবশেষ গত রোববার নাফ নদের শাহ পরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে তিনটি কাঠের ট্রলার যোগে বিজিপির ৮৮ জন সদস্য পালিয়ে এসেছিল। তাদেরও হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।

 

এর আগে দুই দফায় পালিয়ে আসা সামরিক ও বেসামরিক ৬১৮ জন ব্যক্তিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল ফেরত পাঠানো হয় বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ২৮৮ সদস্যকে। এর আগে আশ্রয় নেওয়া ৩০০ জনকে ফেরত পাঠানো হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি। তাদের মধ্যে বিজিপি, সেনাবাহিনী ও কাস্টমস কর্মকর্তা ছিলেন।

 

দ্য নিউজ/ আর পি

live pharmacy
umchltd

সম্পর্কিত বিষয়: