ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪ 

বান্দরবানে শিশু অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড

বান্দরবান সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২০:০০, ৯ মে ২০২৪

শেয়ার

বান্দরবানে শিশু অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড

বান্দরবানের পাঁচ বছরে শিশু জান্নাতুল নাঈমাকে অপহরণের দায়ে মো. শহিদুল্লাহ (৫৭) নামের এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিকে আদালতে তোলা হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা এ রায় দেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শহিদুল্লাহ (৫৭) কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ধইলার পাড়া গ্রামে আব্দুল হকের ছেলে। বিচার চলাকালীন সময়ে তিনি জেল হাজতে বন্দি ছিলেন এবং রায় ঘোষণায় সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্র পক্ষে আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বাসিং থুয়াই মারমা। তিনি বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলায় বাদীর ছেলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগের আক্রান্ত হওয়াই ২০১৭ সালে ৮ জুলাই তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে তাকে অপারেশন করানো পর পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে থাকেন। সেখানে ছেলের সাথে হাসপাতালে অবস্থান করেন বাবা-মা ও পাঁচ বছরের কন্যা শিশুটিসহ পুরো পরিবার।

 

১২ জুলাই রাতে হাসপাতালে সেই বেডের আশেপাশে শিশুটিকে অপহরণের জন্য ঘোরাফেরা করতে থাকেন অপহরণকারী মো. শহিদুল্লাহ (৫৭)। রাত বারোটার সময় সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সেই বেড থেকে পাঁচ বছরের কন্যা শিশু জান্নাতুল নাঈমাকে জোরপূর্বকভাবে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

 

এ সময় অন্য রোগীর স্বজনরা অপহরণকারী শহিদুল্লাহকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেন। পরে নাঈমার বাবা মো. আবদুল মান্নান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।

আজ দুপুরে বান্দরবানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে আসামিকে তোলা হলে সাক্ষ্য পর্যালোচনায় মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়াই অপহরণের দায়ে মো. শহিদুল্লাহকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত। এছাড়াও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

দ্য নিউজ/এমএম

live pharmacy
umchltd