ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪ 

অবাধে রেণু পোনা নিধন, হারাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ

বরগুনা সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ৯ মে ২০২৪

শেয়ার

অবাধে রেণু পোনা নিধন, হারাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে অবাধে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেনু সংগ্রহ। এই রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রায় হাজার প্রজাতির মাছ। সরকার বছরে কয়েকবার জেলেদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন, তারপরও কেন অবাধে এসব মাছের পোনা নিধন করছে সেটা বোধগম্য নয়। অনেকটা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে এসব জলজ প্রাণীর ধ্বংসযজ্ঞ।

 

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে জেলেরা চিংড়ি রেণু আহরণ করছেন। সেগুলো কিনে নিয়ে স্থানীয় ব্যাপারীরা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে আমতলী উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলায় বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে। রেণু সংগ্রহের কাজটি অবৈধ হলেও জীবিকার তাগিদে প্রকাশ্যেই চলছে এ কাজ।

 

পানগুছি নদীতে মশারি নেট জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায় বছরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত। মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় পোনা ধরার ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।পায়রা নদীর তীরবর্তী গ্রাম যেমন আঙ্গুকাটা, ঘটখালী, বৈঠাকাটা, ফেরিঘাট, বাইল্লাতলী সহ কয়েকটি গ্রামে প্রতিদিনই রেনু চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। আমতলীর কয়েক হাজার মানুষ চিংড়ি পোনা আহরণ করে এই সময়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।

 

দেখা যায়, জেলেরা শুধু বাগদা-গলদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করে অন্যান্য মাছের রেণু ও জলজ প্রাণী ফেলে দিচ্ছে। স্থানীয় ঘের মালিকরা এদের কাছ রেনু পোনা সরবরাহ করছে।

 

স্থানীয় একজন জেলে জানান, চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করার সময় কোরাল, কাঁকড়া, চিরিং, বাইলা, তফসে, বাটা, চাপিলা, ফাসসে, টেংরা, পোয়া,কাঁচকিসহ অনেক প্রজাতির পোনাও ওঠে আসে। তারা শুধু চিংড়ি পোনা রেখে বাকিগুলো ফেলে দেন।

 

তিনি জানান, প্রতিটি চিংড়ির পোনার জন্য তারা ভালো দাম পান। কিন্তু অন্য মাছের পোনা বিক্রি হয় না তাই ফেলে দেই না হলে সাইজ একটু বড় হলে কাচকী মাছ হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেই। ছোট ছোট ঘের যারা করে তারা এই পোনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। একটি গলদা বা বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্য অনেক প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়ে যায়। এর সাথে ধ্বংস হয় অন্যান্য জলজ জীবের পোনা বা রেণুও।

 

এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুর রহমান বলেন, রেনু পোনা ধরা ও পরিবহণ করা আইনগত অপরাধ। আমতলী উপজেলা মৎস্য অফিস এ বিষয় তৎপর রয়েছ। সরজমিন পাওয়া গেল আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

দ্য নিউজ/এমএম

live pharmacy
umchltd