Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /var/www/vhosts/thenews24.com/httpdocs/common/config.php on line 174
বিএনপির ৬৩ নেতাকে শোকজ

বিএনপির ৬৩ নেতাকে শোকজ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্য নিউজ/ এফ এইচ এস

প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার

বিএনপির ৬৩ জন নেতাকে শোকজ করেছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাদের শোকজ করা হয়।এর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে শোকজের এই চিঠিগুলো পাঠানো হয়। দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শোকজ করা হয়েছে।’ 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনো মাধ্যমে পত্রপ্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথমে শোকজ করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করতে চায় বিএনপি। এর মধ্য দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে কঠোর বার্তা দিতে চায়, যাতে উপজেলা পরিষদে পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে কেউ প্রার্থী না হন। তা ছাড়া স্থায়ী কমিটির সভায়ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাউকে ছাড় না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।