Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /var/www/vhosts/thenews24.com/httpdocs/common/config.php on line 174
বাতাসে আগুনের হল্কা

পাবনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি

বাতাসে আগুনের হল্কা

পাবনা সংবাদদাতা

দ্য নিউজ/ আর পি

প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার

মাথার ওপর সূর্য যেন আগুন ঢেলে দিচ্ছে। রোদের মধ্যে কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। শরীরে মনে হয় আগুনের হল্কা শুলের মতো বিঁধছে। ঝিরিঝিরি বাতাস থাকলেও তা যেন কাজেই আসছে না। এই অবস্থায় স্বস্তি মিলছে না কোথাও?

 

এমনই চিত্র উত্তরের জেলা পাবনার বর্তমান আবহাওয়ার। জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। ঘরে বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ ও প্রাণিকুল।


এর মাঝেই শুক্রবার চলতি মৌসুমে পাবনা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ উঠলো ৪১ ডিগ্রির ঘরে।

 

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, আজ বিকাল ৩টায় পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এটি তীব্র তাপপ্রবাহ।

 

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগেরদিন বুধবার ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ গত ৫ দিনে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বেড়েছে।


আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, 'বর্তমানে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। তীব্র তাপের কারণে সূর্যের আলো তির্যকভাবে শরীরে অনুভূত হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে আকাশে মেঘের উপস্থিতি খুবই কম এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ঈশ্বরদীর প্রকৃতিতে তীব্র তাপ অনুভূত হচ্ছে। সহসা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।'

তিনি আরও জানান, 'গত বছর ১৭ এপ্রিল ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।'


ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা হালকা, মাঝারি ও তীব্র হচ্ছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। এর মধ্যে তীব্র গরম উপেক্ষা করেই পেটের তাগিদে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষেরা কাজ করছেন। এর বাইরে খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অনেকেই ছাতা ব্যবহার করছেন। তৃষ্ণা মেটাতে ফুটপাতের পানীয় শরবতের দোকানে ভীড় করছেন। মানুষের পাশাপাশি গরু, ছাগলসহ পশু প্রাণীরাও গরমে হাঁসফাঁস করছে।

 

পাবনা শহরের পৈলানপুর মোড়ে অটোরিকশায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন চালক মহির উদ্দিন (৬০)। বলেন, 'এত্তো গরম আর তাপ বাপু জীবনে কুনুদিন দেহি নাই। রোদের মধ্যি যাওয়াই যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে শরীরের মধ্যি আগুন লাগতিছে।'

 

সংসারের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতে শহরের এসেছিলেন আরিফ হোসেন (৪৫)। জানালেন, 'খুব দরকার ছাড়া বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছে করে না। এমন গরমে কোনোকছিুতেই স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। বাসায় ফ্যান চললেও গরম যাচ্ছে না।'


শহরের ঘোড়া স্ট্যান্ডে ভ্যানচালক মিজান হোসেন বলেন, 'যে পরিমাণ রোদের তাপ, তাতে ভ্যান চালাবের পারতিছি না। ছায়ায় বসে থাকা লাগতিছিলে। ভাড়াও হচ্ছে না। দিন গেলি সংসার খরচ, কিস্তির টেকার যোগাড় করা জুলুম হয়ে গ্যাছে।'