ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ 

কৃত্রিম এবং বাস্তবের মিশ্রণে নতুন জগৎ- অগমেন্ট রিয়েলিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০৫, ২৪ মার্চ ২০২৪

শেয়ার

কৃত্রিম এবং বাস্তবের মিশ্রণে নতুন জগৎ- অগমেন্ট রিয়েলিটি

নতুন এই প্রযুক্তি হার মানাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা বহুল আলোচিত ভিআর প্রযুক্তিকেও। এই নতুন প্রযুক্তি হতে পারে অপার সম্ভাবনার দুয়ার। যদিও এখন পর্যন্ত এই প্রযুক্তি ভালোভাবে বিস্তার লাভ করেনি। কমতি রয়েছে অনেকটাই। প্রয়োজন পড়বে আরো উপযোগী কন্টেন্টের। তবে আসার ব্যাপার হলো গুগল, অ্যাপেল, ফেসবুক কিংবা মাইক্রোসফটের মতো বড় বড় কোম্পানি বসে নেই। প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করে চলেছে এই সেক্টরে।

বিগত কিছু বছর ধরে যে প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তার মধ্যে অন্যতম। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীকে নিয়ে যাবে সম্পূর্ণ নতুন এক জগতে। যে জগতের কোন মিল থাকে না বাস্তবতার সঙ্গে। এই জগত তৈরি করা হয় কম্পিউটার সিমুলেশন এর মাধ্যমে। কম্পিউটার গ্রাফিক্স, অডিও এবং বিভিন্ন এলিমেন্টের মাধ্যমে তৈরি এ জগত, বাস্তবের মতোই স্বাধ দেয়। তাইতো এত জনপ্রিয়তা ভিআর প্রযুক্তির। 

তবে এবার ভিআর প্রযুক্তিকে ছাপিয়ে সর্বোচ্চ আলোচনায় রয়েছে এআর প্রযুক্তি। তাইতো প্রযুক্তিপ্রেমীদের মাঝে সবচেয়ে আলোচোনা এবং আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্রযুক্তি। 

কি এই এআর প্রযুক্তি? 

এআর বা অগমেন্ট রিয়েলিটি হলো এমন এক প্রযুক্তি যা বাস্তবতা এবং কাল্পনিক জগতের সমন্বয়ে তৈরি করে নতুন এক জগৎ। আপনি বাস্তবে যা দেখবেন, তার উপর কম্পিউটার নির্মিত একটি স্তর যুক্ত করবে অগমেন্ট রিয়েলিটি। বাস্তব এবং ভার্চুয়ালের মিশ্রণে তৈরি হবে নতুন এক অনুভূতি। পাবেন সব কিছুকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার অসাধারণ অভিজ্ঞতা। 

কিভাবে কাজ করে অগমেন্টেট রিয়েলিটি?

অগমেন্ট শব্দের অর্থ যুক্ত করা রিয়েলিটি হলো বাস্তবতা। তাই বলা হচ্ছে অগমেন্টেড রিয়েলিটি হল বাস্তবতা এবং কাল্পনিক জগতের সংমিশ্রণ। 


কল্পনা করুন, আপনি কোন এক অচেনা স্থানে গেলেন। আপনার সঙ্গী হয়েছে এয়ার প্রযুক্তির একটি চশমা।  চশমা চোখে দেওয়ার পর। আপনি জানতে চাইলেন কোথায় আছেন? আপনার আশপাশের কি কি রয়েছে? এবার আপনি যে দিকেই তাকাচ্ছেন আশপাশের ভবনগুলোর উপরে ভার্চুয়ালি ভেসে উঠেছে ভবনের নাম এবং সার্ভিসগুলো। সঙ্গে ভবনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং ইতিহাস।  অনেকটা সাইন্সফিকশন সিনেমার মতো। রাস্তাগুলোতে নাম এবং নেভিগেশন দেখা যাচ্ছে। আপনি কোথায় যেতে চাচ্ছেন, বলার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনে থ্রিতে ভেসে উঠলো গুগল ম্যাপ। দ্রুত যাওয়ার জন্য শর্টকাট রাস্তা দেখালো। বাইরে চলতে চলতে উপভোগ করতে পারবেন নতুন এই জগতের অত্যাধুনিক ফিচার। চাইলেই নিজের সঙ্গে রাখতে পারেন ভার্চুয়াল প্রজাপতি বা পাখি। যেগুলো দেখে মনে হবে বাস্তব জগতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনার সঙ্গে তারা প্রতিক্রিয়া দেখাবে। মনে হবে যেন বাস্তবেই তাদের অস্তিত্ব রয়েছে। এই সবই সম্ভব হচ্ছে এআর প্রযুক্তির কল্যাণে। 

তাইতো বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন এই প্রযুক্তি হতে পারে অপার সম্ভাবনার দ্বার। পাল্টে দিতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ। চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ, নিরাপত্তা, কনফারেন্স, ডিজাইনিং, বিনোদন সব ক্ষেত্রেই অবদান রাখবে এই প্রযুক্তি। এছাড়াও অন্যান্য অনেক প্রযুক্তির জায়গা দখল করে নিতে পারে এআর।

দ্য নিউজ/ এসএইচ/ এনজি

live pharmacy
umchltd

সম্পর্কিত বিষয়: