ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ 

হাইজ্যাক হচ্ছে ই-সিম

সাকিব হাওলাদার

প্রকাশিত: ১৪:০৫, ১৮ মার্চ ২০২৪

শেয়ার

হাইজ্যাক হচ্ছে ই-সিম

প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে সাইবার আপরাধীরা, অপরাধের নতুন কৌশল রপ্ত করছে। তাইতো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রযুক্তি ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। 

বর্তমান সময়ে ই-সিম বা এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি বেশ জনপ্রিয়। এর কিছু কারণ রয়েছে যেমন, অনেক সহজে ব্যবহার করা যায়। প্রয়োজন নেই আলাদা ফিজিক্যাল সিম কার্ডের। শুধু একটি কিউআর কোড স্ক্যান করে সহজেই ফোনে সক্রিয় করা যায় ই-সিম। এছাড়া, ই-সিমের জন্য ফোনে অতিরিক্ত সিম স্লট প্রয়োজন হয় না। ফোনের ভেতরে ক্ষুদ্র চিপে ই-সিম এমবেডেড থাকে। তাই ফোন কোম্পানি গুলো ই-সিমের দিকে ঝুঁকছে। ব্যবহারকারীরাও বেশ উপভোগ করছে ই-সিমের সুবিধা।

তবে সম্প্রতি এই ই-সিম হাইজ্যাক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাশিয়ান সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম (এফ এ সি সি টি) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়াসহ বিশ্বব্যাপি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সোশাল মিডিয়সহ বিভিন্ন সুরক্ষা বাইপাস করতে ই-সিম হাইজ্যাকি করা হচ্ছে। 

একটি ই-সিম হাইজ্যাক বা চুরি করতে আপরাধীরা সিম প্রতিস্থাপন বা পুনরুদ্ধার করার পদ্ধতি অবলম্বন করে। তারা অন্য একটি নতুন নম্বর ব্যবহারকারির ফোনে প্রতিস্থাপন করে। পরবর্তিতে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট তাদের নিজস্ব ডিভাইসে স্থানান্তর করে।

এছাড়া, তারা হাইজ্যাক হওয়া মোবাইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একটি নতুন (কিউ আর) কোড  তৈরী করতে পারে। পরবর্তিতে ই-সিম সক্রিয় করতে এটি ব্যবহার করা যায়। আপরাধীরা অন্য ডিভাইসে এই কোড স্ক্যান করে ই-সিম সক্রিয় করতে পারে। একই সাথে, বৈধ মালিকের ই-সিম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। মূলত: এই পদ্ধতিতেই তারা ই-সিম হাইজ্যাক করে।

এসব আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ইউজার অ্যাকাউন্টে একটু জটিল এবং মিশ্র পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। এবং সুযোগ থাকলে দ্বি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সক্রিয় করা।

এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য ওয়ালেট ব্যাবহারকারিদের ফিজিক্যাল কী বা প্রমাণীকরণ অ্যাপের মাধ্যমে সেগুলিকে সুরক্ষিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

দ্য নিউজ/ এসএইচ/ এনজি

live pharmacy
umchltd

সম্পর্কিত বিষয়: