ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ 

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে মানবাধিকারের সবক নেওয়াটা দুঃখজনক  

দ্য নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ২ মে ২০২৪

শেয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে মানবাধিকারের সবক নেওয়াটা দুঃখজনক  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়, তাদের থেকে মানবাধিকারের সবক নিতে হয়, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক । 

থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

বক্তব্যে ফিলস্তিনের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরতদের গ্রেপ্তার ইস্যুতে সরকারপ্রধান বলেন, সবচেয়ে বড় কথা আজকে ৯০০ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রফেসর গ্রেপ্তার হয়েছেন আন্দোলন করার জন্য। এটা একমাত্র আমেরিকায়... আর এটা নাকি গণতন্ত্রের একটা অংশ, সেটাও আমাদের শুনতে হয়। একজন প্রফেসরকে কীভাবে মাটিতে ফেলে গ্রেপ্তার করা হলো।  

ফিলিস্তিনের পক্ষে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। আমি যেখানে যাই সেখানে আমার কথা আমি বলব। কারণ যেভাবে গণহত্যা চলছে, এটা অমানবিক।

মার্কিন পুলিশের আচরণের সঙ্গে দেশের পরিস্থিতির তুলনা টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর আমি পুলিশদের ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। অথচ ধৈর্য ধরতে গিয়ে তাদেরই মার খেতে হয়েছে। তাদের হাসপাতালে আক্রমণ করা হয়েছে, গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তো আমার ধারণা আমাদের পুলিশ এখন আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা চাইলে গ্রহণ করতে পারে।

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের অংশ নেওয়া-না নেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তারা আগে নির্বাচন করেছেন। কেউ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান। তাদের তো রাজনৈতিক জীবনী আছে। তাদের মানা করি কী করে? তবে এটা ঠিক, এক জায়গায় বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত। সেটাই নেতাকর্মীদের বলতে চেয়েছি।

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্দেশনা সংক্রান্ত ওই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, পারিবারিক ফর্মুলায় কারা পড়েন? নিজের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী, এই তো? হিসাব করে দেখেন কয়জন ছেলে-মেয়ে, কয়জন স্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন? এর বাইরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। যেন প্রভাব বেশি না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে অর্থবহ করা।’ 

তিনি বলেন, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মতো সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে। আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না, বিরাট ব্যাপার দেখালাম।আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে।

দ্য নিউজ/ এফ এইচ এস

live pharmacy
umchltd

সম্পর্কিত বিষয়: