তিতকুটে স্বাদের হওয়ার অনেকেই করলা খেতে পছন্দ করে না। বিশেষ করে কম বয়সিদের অপছন্দের একটি খাবারের নাম করলা। তবে নিয়মিত করলা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো। আর গরমের সময় করলার জুস শরীর সুস্থ রাখতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
তাই চলুন জেনে নিই এই গরমে করলার রসের কী কী উপকারিতা রয়েছে-
ডায়াবেটিস প্রতিরোধী: করলায় আছে নানান স্বাস্থ্য সুবিধা। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে করলার জুস। ডায়াবেটিস একটি সাধারণ রোগ বর্তমান সময় এ অনেকেই ভুগে থাকেন এ রোগে। করলার জুস রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটা বাইরের ঔষধ ছাড়াই ইনসুলিন প্রতিরোধে প্রতিকার করে। ক্যান্সার প্রতিরোধী সঠিক পর্যায়ে শনাক্ত না হলে, ক্যান্সার ভাল হওয়া অসম্ভব। করলার জুস কিছু বিশেষ ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এটি লিউকেম ক্যান্সারের কোষগুলোকে কার্যকরী করার জন্য সহায়তা করে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: করলার জুস একটি চমৎকার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ নষ্ট করার জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জরুরি। একই সঙ্গে এটি শরীরের কোষ পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। যারা ধূমপান করে তাদের জন্য করলার জুস সেরা ঔষধ। এই জুস শরীরের নিকোটিনের পরিমান কমায়।
অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করে: করলার জুস খেলে অ্যাজমা রোগীদের বেশ উপকার হয়। এটি ফুসফুস এবং শ্বাসতন্ত্রের দূষণ কমায়। ক্রনিক কাশি এবং শ্বাস কষ্টের সমস্যার সমাধান করে করলার জুস।
ত্বকের যত্নে: করলা করলার রস স্কিনের জন্য চমৎকার। এটি চামড়ার ওপর থেকে সুক্ষ লাইন অপসারণ করতে সাহায্য করে। এই জুস অকালে বার্ধক্যের হাত থেকে বাঁচায় এটি নিয়মের মধ্যে থেকে রক্তকে নিরাময় ও বিশুদ্ধ করে।
হজমে সাহায্য করে: করলার জুস হজম শক্তি বাড়ায়। এটি এনজাইম উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা হজম প্রক্রিয়াটি সহায়তা করে।
ওজন হ্রাস করে: করলার জুস ওজন হ্রাসের জন্য চমৎকার। ওজন কমানোর জন্য করলায় আছে উচ্চ ফাইবার এবং কম কার্বহাইড্রেট। এছাড়া ক্যালরি কনটেন্টের কাজ ও করে। যারা ওজন হ্রাস করতে চায় তাদের জন্য এটা আদর্শ খাবার।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: নিয়মিত করলার জুস পানে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।