ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ 

বোটক্লাব কাণ্ড

হত্যাচেষ্টা মামলায় পরিমণির বিরুদ্ধে সত্যতা পেয়েছে পিআইবি 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১১:০৬, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

শেয়ার

হত্যাচেষ্টা মামলায় পরিমণির বিরুদ্ধে সত্যতা পেয়েছে পিআইবি 

নাটক বা সিনেমার গল্পের চেয়েও নাটকীয় ঢালিউডের চিত্রনায়িকা পরীমণির জীবন। তাইতো প্রায়শই কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকেন তিনি। কখনও তার সংসার, সন্তান, আবার কখনও অন্য নায়িকাদের সঙ্গে সাইবার যুদ্ধে মাতেন তিনি। তবে এবার যেন পুরোনো কাসুন্দি নতুন করে ঘাটলেন এ অভিনেত্রী।

জানা গেছে, নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় পরিমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থাটি। গত ১৮ মার্চ ঘটনার সত্যতা পেয়ে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। 

প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে অন্য আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, এদিন মামলাটির ধার্য তারিখ রয়েছে। আজ মামলার পরবর্তী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৬ জুলাই একই আদালতে সাভার বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় বাদী নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। 

এতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন।

নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির ও আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন বলেও উল্লেখ করেন নাসির।

 

দ্য নিউজ / এন এ

live pharmacy
umchltd