ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪ 

কুড়িগ্রামে জি-৩ রুই রেণু পোনা চাষে লাখপতি ফারুক মণ্ডল

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৬:০০, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

শেয়ার

কুড়িগ্রামে জি-৩ রুই রেণু পোনা চাষে লাখপতি ফারুক মণ্ডল

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মৎস চাষী ফারুক মণ্ডল ৫ হাজার টাকায় জি-৩ রেণু পোনা কিনে এখন তা বিক্রি করেই হয়েছেন লাখপতি। সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে এই মৎস চাষীর।

গত সেপ্টেম্বর মাসে ৫ হাজার টাকায় রংপুর থেকে উন্নতজাতের ৫০০গ্রাম রেনু সংগ্রহ করেন তিনি। ৬ মাস পর আঙ্গুল সাইজের রেণু পোনা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা দরে। এই রুই পুকুরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ফলে মৎসচাষীরা এই পোনা চাষ করে ভাগ্য বদলের চেষ্টা করছেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এতদিন পর্যন্ত সনাতন পদ্ধতিতে পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিলেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাফাডাঙ্গা গ্রামের মৎসচাষী উমর ফারুক মণ্ডল। উন্নতজাতের জি-৩ রুইপোনার সন্ধান পান রংপুরে। গত সেপ্টেম্বরে সেখান থেকে ৫ হাজার টাকায় ৫শ গ্রাম রুই মাছের রেণু ক্রয় করেন। সেখান থেকে আড়াই থেকে ৩ লাখ রেণু পাওয়া যায়।

চলতি এপ্রিল মাসে আঙ্গুল সমান ২৮৬ কেজি রেণু পোনা ৩৫০ টাকা দরে লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। আরো ৮শ কেজি রেণু পোনা বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও পোনাগুলো একবছর পুকুরে রাখতে পারলে আরো বেশি লাভবান হতে পারবেন তিনি। ফলে তার পুকুরের রুইপোনার গ্রোথ দেখে অনেক মৎসচাষী রুইপোনা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

মৎসচাষী ফারুক মণ্ডল জানান, এই মাছ দ্রুত বাড়ে ও লাভজনক। ৫০০ গ্রাম রুইপেনা উৎপাদনে খাবার ও পরিচর্চা বাবদ খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে। এই মাছ বিক্রি করলে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আমার লাভ হবে।

রংপুর আরডিআরএস'র সমন্বিত কৃষি ইউনিটের টিম লিডার বিদ্যুৎ কুমার সাহা জানান, ‘সাধারণ রুই মাছের তুলনায় এই মাছের গ্রোথ ৩০ গুণ বেশি। এই মাছ চাষে মৎসচাষীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিনামূল্যে এই রেণু পোনা সরবরাহ করছি। যাতে কুড়িগ্রামে মৎস চাহিদা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। কৃষকরা অধিক লাভবান হয়।’

দ্য নিউজ/এমএম

live pharmacy
umchltd