ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪ 

ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত, একজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন

পাবনা সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২০:৪০, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ২০:৪০, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শেয়ার

ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত,  একজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন

পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর চরের জমি নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে খায়রুল ইসলাম (৪৫) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের একজনের বাম হাতের কব্জি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে।

 

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

নিহত খায়রুল চরগড়গড়ি গ্রামের নসিম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের কর্মী এবং বিগত ইউপি নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হন। আর কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া ইসাই ব্যাপারি (৫০) একই গ্রামের শফি ব্যাপারির ছেলে। এছাড়া সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত: ২০ জন আহত হয়েছেন।

 

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন, সাজু হুদী (৫০), জামাত ফকির (৫০), নাসির উদ্দিন (৩০), মিঠুন আলী (৩৫), মোসলেম উদ্দিন (৬০), মানু প্রামানিক (৫৫), খোকন প্রামাণিক (৩৫), নুর বেগম (৫০), জিল্লুর রহমান, ওলিউর রহমান, আব্দুল মজিদ, ইছাই প্রামানিক। এদের মধ্যে গুরুতর অন্তত দশজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের ঈশ্বরদী ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সাহাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মিলন প্রামাণিক বলেন, পদ্মা নদীর চরের জমিজমা নিয়ে খায়রুল ইসলাম ও তার প্রতিপক্ষ রিয়াজুল ব্যাপারির সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল। এ নিয়ে শুক্রবার বিকালে আলহাজ্ব মোড় এলাকায় তাদের দু’জনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মারামারি থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।

 

খবর শুনে তাদের উভয়পক্ষের লোকজন আলাদাভাবে জড়ো হয়ে লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় রিয়াজুল ব্যাপারি পক্ষের ইসাই ব্যাপারির বাম হাতের কব্জি হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াজুল ব্যাপারির পক্ষের লোকজনের সঙ্গে খায়রুল ইসলাম পক্ষের লোকজনের তুমুল সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় খায়রুল ইসলাম গুরুতর আহত হলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত চরগড়গড়ি এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।’

live pharmacy
umchltd